প্রফেসর মোঃ আব্দুল আউয়াল মিয়া-এর বাণী

প্রফেসর মোঃ আব্দুল আউয়াল মিয়া
অধ্যক্ষ, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ

ইছামতি নদীর তীর ঘেষে সবুজের সমারোহে ঘেরা পাবনা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম একটি বিদ্যাপিঠ সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ ।শিক্ষা, সাহিত্য , ইতিহাস-ঐতিহ্য ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিকাশের অন্যতম এই বিদ্যাপিঠ ৪৯ একর জায়গা জুড়ে ১৮৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৭ বিষয়ে অনার্স, মাস্টার্স ও ডিগ্রি পাস কোর্সে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষার্থী সাবলীল এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ গুলোর মধ্যে ২০১৭ সালে সারা বাংলাদেশে ২য় স্থান অধিকার করার গৌরব অর্জন করেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে অধ্যক্ষসহ কলেজের অনেক শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী স্থানীয়, আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন পুরস্কারে ভ‚ষিত হয়েছে।এ প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা অর্জন করে লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রী তাদের মেধা ও সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক, ক্রীড়া,সাংস্কৃৃতিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নে অতীতে যেমন প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে তেমনি বর্তমানে বৈশ্বিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে যথেষ্ট অবদান রেখে যাচ্ছে। উচ্চ মাধ্যমিক ভর্তি কার্যক্রম ১৯৯৭ সালের পর বন্ধ থাকলেও বৃহত্তর পাবনা বাসীর প্রাণের দাবী পাবনা পাঁচ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স ও শিক্ষা বান্ধব সরকারের অনুকুল্যে ২০১৫-১৬ ইং শিক্ষাবর্ষ থেকে পুনরায় উচ্চ মাধ্যমিক কোর্স চালু করা হয়েছে। যাতে পাবনার সোনালী সন্তানরা ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ উচ্চ শিক্ষার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির জন্য প্রতিযোগীতায় জয়ী হতে পারে। নিদিষ্ট পাঠ্যসূচির পাশাপাশি সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার জন্য সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্র, ICT এর উপর দক্ষতা অর্জনের জন্য সাইবার সেন্টার, ইংরেজি ভাষাসহ ৫টি বিদেশী ভাষা শিক্ষার জন্য Foreign Language সেন্টার স্থাপিত হয়েছে।

এছাড়া স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম হিসাবে কলেজে রোভার স্কাউট, বিএনসিসি, যুব রেড ক্রিসেন্ট, গার্লস গাইড ও বন্ধন ইউনিট রয়েছে এবং এসব কর্মকান্ডে শিক্ষার্থীরা ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করছে। বাংলাদেশের ভাষা-সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের সার্বিক ইতিহাস-ঐতিহ্য চর্চা ও বর্তমান প্রজন্মকে জানানোর জন্য নতুন শহীদ মিনার ও দৃষ্টিনন্দন স্বাধীনতার স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়েছে এবং মুক্তিযুদ্ধ আর্কাইভ সেন্টার স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত শিক্ষাঙ্গন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ , নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিতির ব্যবস্থা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশাত্ববোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিটি বিভাগে পৃথক কমিটি রয়েছে। রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত, দেশাত্ববোধক গান, কবিতা আবৃতি, নৃত্য, লোক সংগীত, উপস্থিত বক্তৃতা, একক অভিনয়, বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ নানা রকম আন্তঃকক্ষ ও বহিঃকক্ষ প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা নিয়মিত করা হয়।মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশে জঙ্গিবাদ নির্মূল করে অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ সদা সচেষ্ট। ইন্টারনেট সুবিধা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহজলভ্য করার জন্য ইতোমধ্যে কলেজ এরিয়া wi-fi এর আওতায় আনা হয়েছে। গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, wi-fi স্থাপনসহ কলেজের অন্যান্য অবকাঠামো এবং সার্বিক উন্নয়নে পাবনা-৫ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, সম্মানিত জেলা পরিষদের প্রশাসক, পাবনা সদরের সম্মানিত উপজেলা চেয়ারম্যান, পাবনার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, নাগরিক সমাজের গুণীজনসহ আপামর জনগণ, ছাত্রনেতৃবৃন্দ, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সকল সদস্য সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে নিয়ত অবদান রাখছেন এবং আমাকে সার্বক্ষণিক সহায়তা করে যাচ্ছেন, এজন্য আমি সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কলেজের ওয়েবসাইট নতুনভাবে তৈরীতে যারা অবদান রেখেছেন আমি তাদেরকেও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

কলেজের ওয়েবসাইট থেকে সার্বিক সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে সকল নবাগত সোনালী শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের দেশ জাতির যোগ্য কর্ণধার ও শ্রেষ্ঠ মানুষে পরিণত হোক অধ্যক্ষ হিসাবে এ কামনাই করছি।